কাকরকান্দি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ দেবার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সিন্ডিকেট



শেরপুর,নালিতাবাড়ি তে বিদ্যুতে সংযোগ দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি সিন্ডিকেট। উপজেলার কাকারকান্দী ইউনিয়নের বরুয়াজানী গ্রামে ২৩৯টি পরিবারের মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে  সিন্ডিকেটটি।

জানা যায়, শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভাত শালা  জোনাল অফিসের আওতায় ১৫১ নং লটের অধীনে বরুয়াজানী গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব খরচে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পৌনে ৩ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন নির্মাণের কাজ চলছে।

রবিবার সরেজমিনে গেলে, বরুয়াজানী গ্রামের বিদ্যুৎ প্রত্যাশী গ্রাহকরা সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে  বরুয়াজানী  গ্রাম থেকে স্থানীয় কিছু নেতা  বিদ্যুৎ দিবার নাম করে পরিবার প্রতি ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে। তিন সদস্যের এ সিন্ডিকেটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরও বিদ্যুৎ না পাওয়ায় স্থানীয়রা এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অচিরেই বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। অতুল রিচিল (৩০) এ সবার কাছ থেকে টাকা উঠেছে, অতুল রিচিল (৩০) বিদ্যুতের লেবারদের বলে ।যারা টাকা দিয়েছে তাদেরকে শুধুমাত্র সার্ভিস তার দিবেন তা ছাড়া কাউকে দেবেন না ।এ নিয়ে প্রতিবাদ করাতে স্থানীয় ছেলে কে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে অতুল দিসিল এবং স্থানীয় কিছু নেতা যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত ।এ বিষয়ে আমরা উপর মহলে কথা বলেছি এবং উপর মহলে আমরা একটা অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন ব্যাপারটা তারা দেখবে ।ডিজিএম এর সাথে নিউজ নালিতাবাড়ী কথা বলে ডিজিএম  স্পষ্ট ক্লিয়ারলি বলে দিয়েছে
কেউ যদি টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে আসে তাহলে তাকে যেন বেঁধে রেখে ডিজিএম কে খবর দেওয়া হয় ।এবং ডিজিএম তার ব্যবস্থা নেবে।

শেরপুর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এতে যুক্ত আছে

রফিক  এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো: আমিন  জানান, বরুয়াজানী গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে একটি সিন্ডিকেট বিশাল অংকের টাকা নিয়েছে বলে আমিও শুনেছি, তবে তাদের সাথে রফিক এন্টারপ্রাইজের টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি, কাজ করার সময় তারা আমার লেবারদেরকে আপ্যায়ন করিয়েছে।

বিদ্যুতের নামে টাকা আত্মসাতের বিষয়ে শেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ভাতসালা  জোনাল অফিসের ডিজিএম মাসরুল হক খান জানান, শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই স্লোগানে শুধু মাত্র সংযোগ ও সদস্য ফি ৪ শত ৫০ টাকার বিনিময়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষে আমরা বিদ্যুৎ প্রদান করছি। আমার অফিসের কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সাথে জড়িত নয়।

ডিজিএম আরো বলেন যারা বিদ্যুৎ দেবার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদেরকে বেঁধে রেখে আমাকে খবর দিন আমি তাদের নিজ হাতে জেলে ঢুকাবো ।

ডিজিএম এর বক্তব্য শুনতে এখানে ক্লিক করুন

কাকরকান্দি ইউনিয়নে মোট নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে ১৫০০ গ্রাহক। আর তারা সবাই ছয় হাজার করে টাকা দিয়ে তারপর বিদ্যুৎ সংযোগ পায় ।যারা টাকা দিতে না পেরেছে তাদের ঘরেও বিদ্যুৎ যায়নি ।


মোট নতুন সংযোগ ১৫০০++
প্রত্যেক গ্রাহক প্রতি সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে 6 হাজার করে টাকা।

১৫০০x 6=9000000 টাকা 
প্রায় 90 লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেটটি শুধুমাত্র কাকরকান্দী ইউনিয়ন থেকে।

পল্লী বিদ্যুতের আইন সম্বন্ধে জানতে এখানে ক্লিক করুন


ডেস্ক রিপোর্ট
নিউজ নালিতাবাড়ি

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট