শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জবাই করে কিশোর সোহাগ মিয়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামি সুমন (২০) ও তার সহযোগী ৪ আসামিসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ
কিশোর সোহাগের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ট্রাকিং করে গতকাল শুক্রবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে ঢাকা ডেমরা ও নালিতাবাড়ী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার (১৯ জানুয়ারি ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলের পাশে ধরা খেল থেকে জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরী (কাগজ কাটার চাকু ) উদ্ধার করার পর বিকেলে শেরপুরের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে ।
অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তি পুলিশ জানায়, সোহাগের কাছে থাকে একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নিতে উপজেলার দোহালিয়া গ্রামের মৃত হেলালউদ্দিনের মিয়ার ছেলে সুমন (২০) পাঁচ গাঁও গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) সন্ন্যাসী ভিটা গ্রামে ইমতিয়াজ আলীর ছেলে মনির (১৮) পরিকল্পনা করে। এরা তিনজনেই মাদকাসক্ত ।
এদের মধ্যে সুমন ও মেহেদী ভাসমান। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৪ জানুয়ারি রবিবার দিন তিন বন্ধু মিলে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নিহত সোহাগকে ফোন করে ডেকে সন্ন্যাসীর ভিটা বাজারে আনে।পরে এখান থেকে বিড়ি খাওয়ার কথা বলে সোহাগকে সন্ন্যাসী বিটা উত্তর বন্ধের ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর বিড়ি খায় এবং কিছুক্ষণ গল্প করে ।
এক পর্যায়ে সোহাগের কাছে থাকা স্মার্টফোনটি নেওয়ার চেষ্টা করে ।এ সময় সোহাগ তা না দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলে মেহেদী ও মনি সোহাগ কে ঝাপ্তে ধরে এবং সুমন প্যান্টের পকেট থেকে চাকু বের করে সোহাগের গলায় ধরে মোবাইলটি কেড়ে নিতে চায়। দস্তাদস্তি একপর্যায়ে গলায় আঘাত লাগলে সুহাগ গঙ্গানি শুরু করে ও মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় মেহেদি এবং মনির সোহাগের পা ও মাথা চেপে ধরে ধানক্ষেতে শুয়ায়ে । সুমন ঠান্ডা মাথায় সোহাগকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে দৌড়ে চলে আসে রাতেই সুমন উপজেলা তিনানী বাজার থেকে রাতে বাসে করে ঢাকায় চলে যায় এবং পরাধীন রুমমেট ও গার্মেন্ট শ্রমিক পাঁচ গাঁও গ্রামের ইমান আলীর ছেলে জসীম (২০) কাছে ৩০০০ টাকা বিক্রি করে দেয়।
এদিকে পরের দিন সোমবার সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং শুরু করে এবং ব্যবহৃত সিম নিবন্ধন অনুযায়ী একজনকে আটক করে ।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে শুক্রবার সকালে সিমের ব্যবহারকারী ডেমরা অবস্থানকারী জসিমের কাছে পৌঁছায় পুলিশ। জসিম এর কাছে বিক্রেতা সুমনের নাম জেনে একই স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে সুমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই সময়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে নালিতাবাড়ী পাঁচ গাঁও থেকে মেহেদী অসুবিধা থেকে মনিরকে গ্রেফতার করা হয় । এ বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল খায়ের জানান,আজ শনিবার হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি (কাগজ কাটার চাকু )উদ্ধার করা হয়েছে এবং আসামিদের শনিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । তারা ১৬৪ ধারায় সুমনকে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


